মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজ: বাংলাদেশের ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ খ্যাত অভিনেত্রী অঞ্জু ঘোষকে নিয়ে কলকাতায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। বুধবার কলকাতায় সংবাদ সম্মেলন করে বিজেপিতে যোগ দেন এই অভিনেত্রী। এররপই শুরু হয় নানা সমালোচনা।
তৃণমূলের সমর্থকদের দাবি, অঞ্জু ঘোষ আসলে একজন বাংলাদেশের নাগরিক। এমনকি উইকিপিডিয়াতেও তাকে এতো দিন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দেখানো হয়। তিনি কীভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন?
অনেকেই মন্তব্য করেন, অঞ্জু ঘোষের আসল নাম অঞ্জলি ঘোষ। তার জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুরের ভাঙায়। কিন্তু অঞ্জু নিজে এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ভারতেই তিনি জন্মেছেন, বড় হয়েছেন। তার পিতা মাতা এখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষই প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় অঞ্জু ঘোষের জন্মসনদের একটি ছবি পোস্ট করেন। পরে সেদিন বিকালেই বিজেপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে অঞ্জু ঘোষের জন্মসনদ, পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র সাংবাদিকদের দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিজেপির পক্ষে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, অঞ্জু ঘোষের জন্মসনদ কলকাতা পৌরসভা থেকে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য মেয়র ফিরহাদ হাকিম জবাব দেবেন।
অঞ্জু ঘোষের জন্মসনদে দেখা গেছে, তার জন্ম ১৯৬৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি নার্সিংহোমে। বাবার নাম সুধন্য ঘোষ। মায়ের নাম বীনাপানি ঘোষ। কলকাতা পৌরসভা থেকে এই জন্মসনদটি ইস্যু হয়েছে ২২ ডিসেম্বর ২০১৩ সালে।
তৃণমূল সমর্থকদের দাবি, উইকিপিডিয়ায় অঞ্জু ঘোষের জন্ম তারিখ সংক্রান্ত যে তথ্য ছিল তা বিজেপির সংবাদ সম্মেলনের পরেই উধাও হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন তৃণমূলের হয়ে প্রচার করার অভিযোগে বাংলাদেশি অভিনেতা ফিরদৌস এবং গাজী নূরের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। এমনকি ফেরদৌসকে ভারতের কালো তালিকাভুক্তও করে দেওয়া হয়েছে। তারপরই অঞ্জুর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে শুরু হয়ে বিতর্ক।